![]() |
কিডনি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে ১০ টি কারনে |
এবং সুস্থ্য থাকতে হলে। আমাদের কিডনি কিভাবে ভালো থাকবে,আমাদের
জানতে হবে। এবং আমরা সঠিক ভাবে খাওয়া-দাওয়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে
চলাফেরা না হলে একের পরে এক শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। এবং
আমরা জানি না যে কিডনি কিভাবে যত্ন নিতে হয়।
এবং আমরা প্রতিদিন কিছু কিছু
ভুল করে থাকি তাঁর কারনে আমাদের কিডনির অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হয়। কিডনির
ক্ষতির কারন হতে পারে আমাদের অকালে মৃত্যু। এবং নিচে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার
১০ টি কারন জানানো হলো
আমরা জানি প্রতিদিন কিছু কিছু কারনে আমাদের দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ কিডনি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এবং এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান না করা।
এবং আমাদের দেহের কিডনির প্রধান কাজ হলো শরীরের পরিপাক প্রক্রিয়ার বর্জ্য অপসারন করে ফেলে এবং লোহিত এবং রক্তকণিকা ভারসাম্যপূর্ণ ঠিক রাখে। এবং আমরা প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান না করলে আমাদের শরীরে বৃক্কের রক্ত চলাচল কমে যায়। এবং ফলে শরীরে রক্তের দূষিত রাসায়নিক জমা হয়।
কিডনি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে ১০ টি কারনে
প্রসাব বেশিক্ষন আটকে রাখা
আমরা জানি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করি এবং পানি খাওয়ার পরেই প্রসাবের চাপ দিতে পারে। আমাদের শরীরে যখন প্রসাবের চাপ দেয় তখন যদি প্রসাব দীর্ঘক্ষন প্রসাব না করে থাকা হয়।
এবং বেশিক্ষন মূএাষয় পূর্ন করে রাখলে শরীরে নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করে। তাছাড়া বেশিক্ষণ যদি প্রসাব না করে থাকা হয়,তাহলে হাইড্রোনোফ্রসিস এবং কিডনির
উপরে প্রসাবের চাপ বেড়ে যায়। এজন্য কিডনির কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে ফলে কিডনি ডায়লাইসিস প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
লেবু খাওয়ার কয়েকটি উপকারিতা জেনে নিন
বেশি পরিমানে লবন খাওয়া
আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের খাদ্য খেয়ে থাকি এবং বেশিভাগ খাবারে মিশে থাকে লবন আর এই লবন পরিপাক করা হলো কিডনির কাজ,প্যাকেটজাত খাবার এবং রান্না করা খাবারের লবন আমাদের শরীরের সোডিয়াম এর বড় ধরনের উৎস।
এছাড়াও পরিপাকের মধ্যে দিয়ে সোডিয়ামের বেশি ভাগ বর্জ্য শরীর থেকে বের করে দিতে হয়। খাবারের সাথে যখন আমরা বেশি লবন খায়,তখনই সোডিয়াম প্রক্রিয়াজাতকরন নিয়ে সেসময় বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। ফলে কিডনিতে অনেক বেশি চাপ পড়ে।
ক্যাফেইন বেশি আসক্তি হলে
সারাদিন আমরা নানা কাজে নিয়োজিত থাকি,এবং কাজের মধ্যে অনেক বেশি পানির তৃষ্ণা পায়,তখন আমরা সাধারণত পানি পান না করে কোমল পানি পান করি।
কিন্তু এসব পানিতে প্রচির পরিমানে ক্যাফেইন দেওয়া থাকে। শরীরে অতিরিক্ত ক্যাপেইন দেহের রক্ত চাপ বাড়িয়ে দেয়। উচ্চ রক্তচাপ কিডনির উপর প্রভাব ফেলে এরজন্য কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হয়।
ব্যথানাশক ওষুধ বেশি খাওয়া
আমাদের একটু মাথাব্যথা গলাব্যথা হলেই ব্যথার ওষুধ খেয়ে থাকি। এবং এসব ব্যথানাশক ওষুধে বেশি পরিমানে পাশ্বপ্রতিক্রিয়া দেওয়া থাকে।
আমাদের দেহে কিডনি এবং নানা ধরনের অঙ্গ প্রত্যঙ্গর জন্য ব্যথানাশক ওষুধ খুবই ক্ষতি করে থাকে। চিকিংসা বিজ্ঞানী গবেষণা করে পায় যে নিয়মিত ব্যথানাশক ওষুধ শরীরে রক্তচাপ কমিয়ে দেয় এছাড়া কিডনি কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
প্রোটিন বেশি খাওয়া
প্রতিদিন আমরা আমাদের শরীর সু্স্থ্য রাখতে নানা ধরনের খাদ্য খায় এর মধ্যে বেশি ভাগ মানুষ গরু-ছাগলের মাংস বেশির ভাগ মানুষ খায়। গরুর মাংসে বা ছাগলের মাংসে বেশি প্রোটিন থাকে,আর এসব খাবার কিডনির উপরে অনেক বেশি চাপ তৈরি করে থাকে।
সেজন্য আমাদেরকে গরু-ছাগলের মাংস বেশি খাওয়া যাবে না। কারন এসব খাবারে অনেক বেশি প্রোটিন থাকে। কিডনির সমস্যা না থাকলে প্রোটিনজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে।
ভাত খাওয়ার পর ভুলেও যে ৫ টি কাজ করবেন না
অ্যালকোহল আসক্তি
অনেকেই দেখা যায় মদ্যপান করে থাকে,এবং মদ বেশি খাওয়ার ফলে জ্ঞান থাকে না। খুব বেশি মদ পান করলে কিডনির উপর অনেক বেশি পরিমানে চাপ পড়ে।
ফলে আমাদের দেহের কিডনি অকেজো হয়ে পড়ে। ফলে যারা অ্যালকোহল আসক্তি হয়ে পড়ে তাদের কিডনি রক্ষা করতে অ্যালকোহল ছাড়তে হবে।
ধূমপানের আসক্তি
চিকিৎসা বিজ্ঞানী যুক্তরাষ্টে রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ কেন্দ্রে এর মতে পাওয়া যায়। ধুমপান এর কারনে শরীরে কিডনি এছাড়া নানা ধরনের অঙ্গের ক্ষতি করে।
এছাড়া ধুমপান করার ফলে কিডনি খুব সহজে অকেজো হয়ে পড়ে। তখনই মানুষ মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়। কিডনি ভালো রাখতে চাইলে আমাদের ধুমপান ছাড়তে হবে।
আমরা জানি ঋতু প্ররিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের শরীরে নানা ধরনের অসুস্থতা দেখা দেয় তাঁর মধ্যে সর্দি,কাশি বেশির ভাগ মানুষের লেগে থাকে।
ওষুধ খেলেও খুব সহজে নিরাময় হয় না। তবে সর্দি কাশি হলে অনেকেই খুব তারাতারি রক্ষা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে। কিন্তু সর্দি কাশি হলে আবার কিডনির উপর বেশি প্রভাব ফেলে তখনই শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
রাতে বেশি জেগে থাকা
রাতে জেগে থাকার অনেকেই আছে যারা রাতে ঘুমাতে পারে না। কিছু মানুষ আছে যারা অনিদ্রাতে ভোগে আবার আমাদের দেশে এখন বেশিরভাগ ফ্রিলান্সিং কাজের জন্য রাতে জেগে থাকে, নানা ধরনের কাজের জন্য মানুষ রাতে জাগে,কিন্তু আমাদের শরীরে ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ।
যখন আমাদের শরীরে ঘুম আসে তখন সারা অঙ প্রত্যঙ্গের টিস্যু নবায়ন হয়। যারা নিয়মিত ঘুমের সমস্যায় ভুগছে তাদের কিডনি এবং অনন্য অঙ্গ প্রতাঙ্গ গুলো কাজে বিঘ্ন ঘটায়। ফলে কিডনি কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
সর্বশেষ উপরের আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে কিডনি কিছু কিছু কারনে অকেজো হয়ে পড়ে। আমরা জানতে পারি আমাদের মানবদেহের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি আর এই কিডনির কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে কিছু কারনে আর সেই কারন গুলো আমরা মেনে চলবো তাহলে কিডনি রোগ থেকে আমরা রেহাই পাবো।
No comments:
Post a Comment